আজকের দিনে নবজাগরণের অন্যতম অঙ্গ হল নারীর ন্যায্য অধিকার সচেতনতার আন্দোলন। সমাজের সকল স্তরে নারীর অবমাননা আজকের দিনে এমন এক চরম অবস্থায় পৌঁছেছে যে তার আমূল সংস্কার একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের আর্য সভ্যতার উষালগ্নে বৈদিক যুগ ছিল নারীর স্বর্ণযুগ, সেই যুগে নারী ছিল উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তখন সব ক্ষেত্রেই নারী শ্রেষ্ঠত্বের শীর্ষদেশ স্পর্শ করেছে। বিদ্যা শিক্ষা ছাড়াও দেশ পরিচালনা, যুদ্ধবিদ্যা থেকে শুরু করে সুউচ্চ আধ্যাত্মিক রাজ্যের গহনেও ছিল তার সাবলীল গতিবিধি। ঋকবেদে সাতাশজন ব্রহ্মবাদিনী বা মহিলা ঋষির নাম পাওয়া যায় তাঁরা বিদ্যাবত্তায় কি আধ্যাত্মিকতায় ছিলেন অগ্রগণ্য। অম্ভৃণ ঋষির কন্যা ‘বাক’ রচনা করেছেন দেবীসূক্ত, আজও যা সপ্তশতী চণ্ডীপাঠের শেষে অবশ্য পাঠ্য। এছাড়াও বিশ্ববরা, ঘোষা, লোপামুদ্রা, শাশ্বতী প্রমুখ মহিলা ঋষির নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হয়।
অথচ এই উত্তর আধুনিক যুগে, যখন অন্যান্য ক্ষেত্রে সমাজ এত অগ্রগতি করেছে, তখন চারদিকে নারীরা লাঞ্ছিত, অপমানিত। এই সময় মানুষের চৈতন্যবোধ জাগ্রত হওয়া বড়ই প্রয়োজন। আর এই চৈতন্যের কথা প্রেমপুরুষ রামকৃষ্ণদেব প্রায় ১৫০ বছর আগেই উচ্চারণ করে গিয়েছেন।
১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ঘটেছিল যে আধ্যাত্মিক চিন্তনের বিপ্লব তা আজকের দিনের জন্য কত প্রাসঙ্গিক ভাবলে অবাক লাগে। শুধুমাত্র কয়েকটা কথা, ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’। সেদিন রামকৃষ্ণদেব উদ্যানবাটিতে ‘কল্পতরু’ হয়েছিলেন। রামকৃষ্ণদেবই বলতে সক্ষম হয়েছিলেন ‘যত মত তত পথ’।
আজ চারদিকে জাতের নামে যে বৈষম্য, হানাহানি তা দূর করতে রামকৃষ্ণদেবই একমাত্র সব মতের ও পথের এক সর্বব্যাপী জাগ্রত ঈশ্বর। সেক্ষেত্রে শ্রীরামকৃষ্ণদেব যথার্থই অনবদ্য। এখানেও সেই ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’ এই কথাটিই বলতে হয়।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’ এই কথাটির তাৎপর্য বা যথার্থতা কী?
প্রতিটি মানুষ তাঁর স্বরূপতায় চৈতন্য। কিন্তু মানুষ সেই স্বরূপতা সম্পর্কে অবগত নন, অজ্ঞানের আবরণে তার সেই বোধশক্তি আবৃত। তাই আজ চারদিকে এত হানাহানি, নারী নির্যাতন, দাঙ্গা।
মানুষ এই আবরণকে যত পরিষ্কার করতে পারবে, যতই সরাতে পারবে, ততই নিজের স্বরূপকে আবিষ্কার করতে পারবে। আর সেই আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই সে খুঁজে পাবে তার আত্মিক ঐশ্বর্যকে, চেতনার ঐশ্বর্যকে, ভূমার ঐশ্বর্যকে, মনুষ্যত্বের ঐশ্বর্যকে। তখনই দূর হবে অন্ধকারের আচ্ছন্নতা, তখনই সার্থক হবে ‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’ অমৃত বাণীর সার্থকতা।
সে চৈতন্য হবে পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্বে উন্নীত হওয়ার আদর্শ। তিনি চেয়েছিলেন মানুষ যেন ‘মান’ সম্পর্কে ‘হুঁশ’-এর রাজ্যে বিরাজ করে।
নারী থাকুক তার সম্মান নিয়ে, মানুষ হিসেবে নিজের মনুষ্যত্ব নিয়ে। আর সেই আদর্শের স্রষ্টা ‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী, ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’-এর যথার্থ ও সার্থকতা আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়ুক আমাদের মস্তকে। নারী জগতে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করুক।
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা
পুণঃপ্রচারে বিনীত -
প্রণয় সেন
প্রণয়
অথচ এই উত্তর আধুনিক যুগে, যখন অন্যান্য ক্ষেত্রে সমাজ এত অগ্রগতি করেছে, তখন চারদিকে নারীরা লাঞ্ছিত, অপমানিত। এই সময় মানুষের চৈতন্যবোধ জাগ্রত হওয়া বড়ই প্রয়োজন। আর এই চৈতন্যের কথা প্রেমপুরুষ রামকৃষ্ণদেব প্রায় ১৫০ বছর আগেই উচ্চারণ করে গিয়েছেন।
১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ঘটেছিল যে আধ্যাত্মিক চিন্তনের বিপ্লব তা আজকের দিনের জন্য কত প্রাসঙ্গিক ভাবলে অবাক লাগে। শুধুমাত্র কয়েকটা কথা, ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’। সেদিন রামকৃষ্ণদেব উদ্যানবাটিতে ‘কল্পতরু’ হয়েছিলেন। রামকৃষ্ণদেবই বলতে সক্ষম হয়েছিলেন ‘যত মত তত পথ’।
আজ চারদিকে জাতের নামে যে বৈষম্য, হানাহানি তা দূর করতে রামকৃষ্ণদেবই একমাত্র সব মতের ও পথের এক সর্বব্যাপী জাগ্রত ঈশ্বর। সেক্ষেত্রে শ্রীরামকৃষ্ণদেব যথার্থই অনবদ্য। এখানেও সেই ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’ এই কথাটিই বলতে হয়।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’ এই কথাটির তাৎপর্য বা যথার্থতা কী?
প্রতিটি মানুষ তাঁর স্বরূপতায় চৈতন্য। কিন্তু মানুষ সেই স্বরূপতা সম্পর্কে অবগত নন, অজ্ঞানের আবরণে তার সেই বোধশক্তি আবৃত। তাই আজ চারদিকে এত হানাহানি, নারী নির্যাতন, দাঙ্গা।
মানুষ এই আবরণকে যত পরিষ্কার করতে পারবে, যতই সরাতে পারবে, ততই নিজের স্বরূপকে আবিষ্কার করতে পারবে। আর সেই আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই সে খুঁজে পাবে তার আত্মিক ঐশ্বর্যকে, চেতনার ঐশ্বর্যকে, ভূমার ঐশ্বর্যকে, মনুষ্যত্বের ঐশ্বর্যকে। তখনই দূর হবে অন্ধকারের আচ্ছন্নতা, তখনই সার্থক হবে ‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’ অমৃত বাণীর সার্থকতা।
সে চৈতন্য হবে পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্বে উন্নীত হওয়ার আদর্শ। তিনি চেয়েছিলেন মানুষ যেন ‘মান’ সম্পর্কে ‘হুঁশ’-এর রাজ্যে বিরাজ করে।
নারী থাকুক তার সম্মান নিয়ে, মানুষ হিসেবে নিজের মনুষ্যত্ব নিয়ে। আর সেই আদর্শের স্রষ্টা ‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী, ‘তোমাদের চৈতন্য হউক’-এর যথার্থ ও সার্থকতা আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়ুক আমাদের মস্তকে। নারী জগতে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করুক।
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা
পুণঃপ্রচারে বিনীত -
প্রণয় সেন
প্রণয়
0 comments :
Post a Comment