গুকারশ্চান্ধকারঃ স্যাদ্ রুকারন্তন্নিরোধকঃ।
অন্ধকারনিরোধিত্বাৎ গুরুরিত্যভিধীয়তে ।। (শ্রীশ্রীগুরুগীতা )
গুরু শব্দের অর্থ কি ?
তারক উপনিষদের মতে, গুরু শব্দের অর্থ হচ্ছে গু=গুহা বা অন্ধকার, রু=তেজ বা আলো। তাহলে গুরু শব্দের মূল অর্থ হলো মানবকূলের চিত্ত গুহার অন্ধকার দূরীভূত করে যে ব্রহ্মময় পুরুষ মানবকূলকে আলোর পথে নিয়ে চলেন, তিনিই গুরু। পরম পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এক কথায় বলেছেন গুরু হলেন ‘ঘটক’। যিনি ভগবানের সঙ্গে ভক্তের মিলন ঘটান। শিষ্যের মনের আকুলতা অনুযায়ী মন্ত্র ও ইষ্ট ঠিক করে দেন।
গুরু বিনে গতি নাই কেন?
গুরু আমাদের মুক্তি লাভের পথ দেখান। এ ভব যন্ত্রণাক্লিষ্ট মায়ার সংসার থেকে মানসিক মুক্তি দিয়ে ভব নদী পার করিয়ে দেন। তাই জীবনযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মানব জীবনে গুরুর ভূমিকা অপরিসীম। একজন সন্তানের প্রথম গুরু হলেন মাতা পিতা । সন্তানের কাছে তাঁরাই ভগবানের ন্যায় বা পরম গুরু। তবুও কেন জীবনে গুরুর প্রয়োজন হয়?
সকল জন্মে পিতামাতা সবে পায়।
কৃষ্ণ গুরু নাহি মিলে, ভজহ হিয়ায়্। (চৈতন্যমঙ্গল)
মানুষ বদ্ধজীব হিসেবে সহস্র যোনি ভ্রমণ করে, পশুপাখি, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ রুপের শেষে মানব দেহ ধারণ করে। প্রতি জন্মে আমরা কত মাতা পিতা লাভ করি। কিন্তু সব জন্মে পারমাথির্ক গুরুকে পাওয়া যায় না। ফলে আমাদের মুক্তি লাভ হয় না, আমাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন মন আলোকিত হয় না। গুরু হচ্ছেন পরমেশ্বরের প্রতিনিধি।
ব্রহ্মান্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব।
গুরু-কৃষ্ণ-প্রসাদে পায় ভক্তিলতা বীজ।। (চৈঃ চঃ১৯/১৫১)
গুরু সবাই হতে পারেন না। শ্রীমদ্ভগবতে বলা হয়েছে, ”যিনি তার আশ্রিত জনকে জন্ম-মৃত্যুর সংসার আবর্ত থেকে উদ্ধার করতে না পারেন,তার গুরু হওয়া উচিত নয়” (ভাঃ৫/৫/১৮)।
শ্রীগুরুই জ্ঞানালোক দ্বারা শিষ্যের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনকে আলোকিত করেন। সকল শিষ্যের কাছে তাঁর নিজ গুরু সাক্ষাৎ পরমব্রহ্ম। তিনিই শিষ্যের ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। তবে কোনও শিষ্যের উচিত নয় তাঁর গুরুকে ভগবানের প্রতিনিধি ভেবে অন্য গুরুর অবমাননা করা। বরং অন্যের গুরুদেবকে ভক্তি প্রদর্শন করাও প্রকৃত সদগুরুর প্রকৃত শিষ্যের পবিত্র কর্তব্য।
ভারতের সাধক ও সাধিকা
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নূতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নূতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা
পুণঃপ্রচারে বিনীত
প্রণয় সেন
প্রণয়
অন্ধকারনিরোধিত্বাৎ গুরুরিত্যভিধীয়তে ।। (শ্রীশ্রীগুরুগীতা )
গুরু শব্দের অর্থ কি ?
তারক উপনিষদের মতে, গুরু শব্দের অর্থ হচ্ছে গু=গুহা বা অন্ধকার, রু=তেজ বা আলো। তাহলে গুরু শব্দের মূল অর্থ হলো মানবকূলের চিত্ত গুহার অন্ধকার দূরীভূত করে যে ব্রহ্মময় পুরুষ মানবকূলকে আলোর পথে নিয়ে চলেন, তিনিই গুরু। পরম পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এক কথায় বলেছেন গুরু হলেন ‘ঘটক’। যিনি ভগবানের সঙ্গে ভক্তের মিলন ঘটান। শিষ্যের মনের আকুলতা অনুযায়ী মন্ত্র ও ইষ্ট ঠিক করে দেন।
গুরু বিনে গতি নাই কেন?
গুরু আমাদের মুক্তি লাভের পথ দেখান। এ ভব যন্ত্রণাক্লিষ্ট মায়ার সংসার থেকে মানসিক মুক্তি দিয়ে ভব নদী পার করিয়ে দেন। তাই জীবনযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মানব জীবনে গুরুর ভূমিকা অপরিসীম। একজন সন্তানের প্রথম গুরু হলেন মাতা পিতা । সন্তানের কাছে তাঁরাই ভগবানের ন্যায় বা পরম গুরু। তবুও কেন জীবনে গুরুর প্রয়োজন হয়?
সকল জন্মে পিতামাতা সবে পায়।
কৃষ্ণ গুরু নাহি মিলে, ভজহ হিয়ায়্। (চৈতন্যমঙ্গল)
মানুষ বদ্ধজীব হিসেবে সহস্র যোনি ভ্রমণ করে, পশুপাখি, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ রুপের শেষে মানব দেহ ধারণ করে। প্রতি জন্মে আমরা কত মাতা পিতা লাভ করি। কিন্তু সব জন্মে পারমাথির্ক গুরুকে পাওয়া যায় না। ফলে আমাদের মুক্তি লাভ হয় না, আমাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন মন আলোকিত হয় না। গুরু হচ্ছেন পরমেশ্বরের প্রতিনিধি।
ব্রহ্মান্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব।
গুরু-কৃষ্ণ-প্রসাদে পায় ভক্তিলতা বীজ।। (চৈঃ চঃ১৯/১৫১)
গুরু সবাই হতে পারেন না। শ্রীমদ্ভগবতে বলা হয়েছে, ”যিনি তার আশ্রিত জনকে জন্ম-মৃত্যুর সংসার আবর্ত থেকে উদ্ধার করতে না পারেন,তার গুরু হওয়া উচিত নয়” (ভাঃ৫/৫/১৮)।
শ্রীগুরুই জ্ঞানালোক দ্বারা শিষ্যের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনকে আলোকিত করেন। সকল শিষ্যের কাছে তাঁর নিজ গুরু সাক্ষাৎ পরমব্রহ্ম। তিনিই শিষ্যের ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। তবে কোনও শিষ্যের উচিত নয় তাঁর গুরুকে ভগবানের প্রতিনিধি ভেবে অন্য গুরুর অবমাননা করা। বরং অন্যের গুরুদেবকে ভক্তি প্রদর্শন করাও প্রকৃত সদগুরুর প্রকৃত শিষ্যের পবিত্র কর্তব্য।
ভারতের সাধক ও সাধিকা
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নূতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নূতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা
পুণঃপ্রচারে বিনীত
প্রণয় সেন
প্রণয়
0 comments :
Post a Comment