আমরা হয়তো নিশ্চয়ই অহরহ শুনেছি যে, ধ্যান-এর দ্বারা আমাদের অশান্ত মন শান্ত হয়, চৈতন্যপ্রাপ্তি ঘটে এবং তার সাথে আধ্যাত্মিকতার বিকাশও ঘটে। আরও বলা হয় যে, এতে করে আমাদের আত্মার সাথে ঈশ্বরের তথা পরমব্রহ্মের যোগসূত্র আরও প্রগাঢ় হয়। অগণিত মহাযোগীরা তাঁদের ধ্যান নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন; তাঁদেরই মধ্যে একজন মহাপুরুষ, স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর 'রাজযোগ'- গ্রন্থে ধ্যান বা meditation সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, যা সত্যিই অনবদ্য ।
সত্যি বলতে গেলে, সিংহাসনে দু-তিনটে মূর্তি রেখে জল-মিষ্টি দিলে তাঁকে আস্তিক বলা চলে কিন্তু আধ্যাত্মিক বলা চলে না, বলছি না যে,মূর্তিপুজো অন্যায়; সে আমিও করি, কারণ, সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাকার ব্রহ্মে বিশ্বাস করাটা একটু অসুবিধাজনক, আকার থাকলে সুবিধা হয় নিজের ভক্তি প্রকাশ করতে এবং ওটাও আধ্যাত্মিকতার এক পর্যায় বা ধাপ।
মহাপুরুষদের আধার অনেক উচ্চতর হবার কারণে তাঁদের সাথে পরমাত্মার সম্পর্ক অনেক উচ্চস্তরের; এবার প্রশ্ন হলো, আমাদের মতো সাধারণ মানুষ সংসারে থেকেও কীভাবে সংসারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করে কি করে এই ঐশ্বরিক ভক্তিপ্রেমরস আস্বাদন করতে পারি?
আসলে আমরা বারংবার ভুলে যাই যে, ঈশ্বর আমাদের থেকে কিছুই চান না, বরং তিনি আমাদের চান। আমরা কতটুকু সমর্পিত তাঁর প্রতি, হাজার কষ্টের মাঝেও তিনি আমাদের হৃদয়ে সেই ভক্তিভাবের সহিত বিরাজিত কিনা, সেটাই তাঁর দেখার বিষয়। আপনি তাঁকে একগুণ ভালোবাসলে, তিনি আপনাকে একশতগুণ বেশি ভালোবাসা ফেরৎ দেবেন, শুধু চাই তাঁর প্রতি অগাধ বিশ্বাস আর চাই সরল মনোভাব।
অশান্ত মনে এবং জোর করে ধ্যান হয় না, হচ্ছে না যখন, তখন চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই আপাতত; বেশি করে ভক্তিমূলক সঙ্গীত শ্রবণ করতে পারি, নিজ নিজ ইষ্টদেবের নাম জপ করতে পারি, অন্তত 108 বার(দুবার করে)--এটা আবশ্যক, কারণ, আমাদের আত্মার ওপর জাগতিক জীবনের ক্রোধ,লোভ-লালসা,কামনা-বাসনার যে ধুলো পড়ে আছে সেগুলোকে পরিস্কার করা আবশ্যক, কারণ, আমাদের দেহ-ই এক একটি মন্দির, মসজিদ,গির্জা বা যা-ই বলতে চাই বলতে পারি এবং পরিশুদ্ধ স্থান ছাড়া ঈশ্বর অধিষ্ঠান অসম্ভব।
এইভাবে চলতে চলতেই একসময় আপনি নিজেই বুঝবেন যে, আপনার সাথে পরমাত্মার সম্পর্ক অনেক উচ্চতরভাবে স্থাপিত হয়েছে, তখন আপনি এক ডাকেই তাঁর সাড়া অনুভব করবেন এবং আপনার জীবনে এক প্রগতি লক্ষ্য করবেন এবং জীবন সুখ-সম্বৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। সর্বশেষে এটাই বলবো যে,
"ভগবান আমাদের দিতেই পারেন,
কিন্তু নিতে যে হয় নিজের গুণে ।"
-‐--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
( ঘরে-বাইরে )
অশান্ত মনে এবং জোর করে ধ্যান হয় না, হচ্ছে না যখন, তখন চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই আপাতত; বেশি করে ভক্তিমূলক সঙ্গীত শ্রবণ করতে পারি, নিজ নিজ ইষ্টদেবের নাম জপ করতে পারি, অন্তত 108 বার(দুবার করে)--এটা আবশ্যক, কারণ, আমাদের আত্মার ওপর জাগতিক জীবনের ক্রোধ,লোভ-লালসা,কামনা-বাসনার যে ধুলো পড়ে আছে সেগুলোকে পরিস্কার করা আবশ্যক, কারণ, আমাদের দেহ-ই এক একটি মন্দির, মসজিদ,গির্জা বা যা-ই বলতে চাই বলতে পারি এবং পরিশুদ্ধ স্থান ছাড়া ঈশ্বর অধিষ্ঠান অসম্ভব।
এইভাবে চলতে চলতেই একসময় আপনি নিজেই বুঝবেন যে, আপনার সাথে পরমাত্মার সম্পর্ক অনেক উচ্চতরভাবে স্থাপিত হয়েছে, তখন আপনি এক ডাকেই তাঁর সাড়া অনুভব করবেন এবং আপনার জীবনে এক প্রগতি লক্ষ্য করবেন এবং জীবন সুখ-সম্বৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। সর্বশেষে এটাই বলবো যে,
"ভগবান আমাদের দিতেই পারেন,
কিন্তু নিতে যে হয় নিজের গুণে ।"
-‐--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
( ঘরে-বাইরে )
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
0 comments :
Post a Comment