masculine energy & feminine energy


আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আসে নানান উত্থান-পতন অথবা সুখ-দুঃখ। এগুলো চলমান চাকার মতো, চলতেই থাকে। আমরা সুখের সময় ভীষণ আনন্দিত হই, আবার দুঃখের সময় এতোই ভেঙে পড়ি যে, আমরা নিজেদের আলাদা করে নিই সবার থেকে; মনে হয় জীবনটাকে যেন অন্ধকার গ্রাস করে ফেলেছে, তখন আমাদের ক্রোধ, বিরক্তিও বেড়ে যায়, মাঝেমাঝে আমরা দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন "ঈশ্বর"-কেও দোষারোপ করে ফেলি। এইসব ক্রোধ, দুঃখ, কামনা, বাসনা, ঘৃণা আবার এদিকে শ্রদ্ধা, ভক্তি, দয়া, বিশ্বাস, মায়া, মমতা, ভালোবাসা--- সবটুকুই আমাদের দেহের অন্দরে অবস্থিত শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়।


এখানে দুধরণের শক্তি পরিলক্ষিত হয়। একটি হলো masculine energy বা পুরুষ শক্তি এবং অপরটি হলো feminine energy বা নারী শক্তি। একজন মানুষের মধ্যে দুটো শক্তিই উপস্থিত থাকে। পুরুষ শক্তি আমাদের head বা মস্তিষ্ককে পরিচালনা করে এবং নারী শক্তি আমাদের heart বা হৃদয়কে পরিচালনা করে। আচ্ছা, এই শক্তিগুলির এমন নামকরণই বা কেন? কারণ, একজন পুরুষ(male) ভীষণ বাস্তববাদী হয়ে থাকেন, তাঁরা জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিকে বাস্তবতা দিয়ে সামলাতে চান; অপরদিকে একজন  নারীর(female) মধ্যে মায়া-মমতা, দয়াভাব, ভক্তি পরায়ণতার আধিক্য দেখা যায়,,,তাই এই শক্তিগুলোর এমন নামকরণ হতে পারে।
যেহেতু একজন মানুষের মধ্যে দুটো শক্তিই বিদ্যমান, তাই এদের মধ্যে সমতা থাকা প্রয়োজন, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এই শক্তিগুলির অসমতা দেখা যায়, আর এটাই এখনকার সবচেয়ে বড়ো সমস্যাগুলির মধ্যে একটি; কারণ অধিকাংশ মানুষেরই একটি শক্তির আধিক্যই বেশি এবং অপরটির একদমই কম। এর ফলে আস্তিক এবং নাস্তিক--এই দুই দলের মানুষের উদ্ভব ঘটেছে। এছাড়াও মানুষের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্তের অভাব-এর মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
আস্তিক এবং নাস্তিক --এর প্রসঙ্গ উঠে আসার কারণ হলো,,, একজন নাস্তিক ব্যক্তির মধ্যে পুরুষ শক্তি বেশি কাজ করে, তাই তিনি ঈশ্বরকে না ডেকেই তাঁর দর্শন পেতে চান, আর চার-পাঁচটি দ্রব্যের মতো বা কোনো মানুষের মতো, যার নির্দিষ্ট আকার-আয়তন আছে,,এবং যাঁকে সহজেই দেখা যায়,,,,, অপরদিকে একজন আস্তিক ব্যক্তির মধ্যে নারীশক্তির প্রভাব বেশি হয়ে থাকে ।
তাহলে, একজন মানুষের কিরূপ ধর্ম হওয়া উচিৎ?----- একজন মানুষের ধর্ম হওয়া উচিৎ, জলের মতো । পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেওয়া,তার মানে অন্যায়কে মেনে নেওয়া নয়,ওটা আরও বড়ো অধর্ম। যেসব সমস্যাগুলো বাস্তবতার সাথে জড়িত সেগুলো মস্তিষ্ক বা পুরুষ শক্তি দিয়ে পরিচালনা করা,,,, এবং যেগুলো একান্তই হৃদয় সংক্রান্ত, সেগুলো হৃদয় দিয়েই বা নারী শক্তি দিয়ে পরিচালনা করাই হলো আমাদের কর্তব্য।


আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।

Share on Google Plus

About Indian Monk - Pronay Sen

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments :

Post a Comment