এ পৃথিবীতে আমাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জন্ম হয়,,,আবার নির্দিষ্ট সময়ে মৃত্যুও ঘটে।
প্রতিটি মানুষের নির্ধারিত সময়কাল থাকে এ পৃথিবীতে বিচরণ করার । সময়কাল পেড়িয়ে গেলে, সব মায়া কাটিয়ে মানুষকে বিদায় নিতেই হয়। প্রতিটি মানুষ একা আসেন এবং একা-ই চলে যান, মানুষ এ পৃথিবীতে এসে অনেক কিছুই অর্জন করেন, অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেন, অনেক ধন-ও সঞ্চয় করেন,, কিন্তু কোনো কিছুই বিদায় বেলায় নিয়ে যেতে পারেন না। অনেকে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করেন, কিন্তু হয়তো তারা ভুলে যান অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় সব পুড়ে যায়, ঝলসে যায়,,,শেষে পড়ে থাকে শুধু ছাইটুকু, সব মিলিয়ে যায় পঞ্চভূতে।
প্রতিটি মানুষের নির্ধারিত সময়কাল থাকে এ পৃথিবীতে বিচরণ করার । সময়কাল পেড়িয়ে গেলে, সব মায়া কাটিয়ে মানুষকে বিদায় নিতেই হয়। প্রতিটি মানুষ একা আসেন এবং একা-ই চলে যান, মানুষ এ পৃথিবীতে এসে অনেক কিছুই অর্জন করেন, অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেন, অনেক ধন-ও সঞ্চয় করেন,, কিন্তু কোনো কিছুই বিদায় বেলায় নিয়ে যেতে পারেন না। অনেকে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করেন, কিন্তু হয়তো তারা ভুলে যান অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় সব পুড়ে যায়, ঝলসে যায়,,,শেষে পড়ে থাকে শুধু ছাইটুকু, সব মিলিয়ে যায় পঞ্চভূতে।
কিন্তু,,,আমরা কখনও এভাবে ভেবে দেখেছি যে, "মানুষের জন্ম কেনো হয়????"
আমাদের মানুষ হিসেবে প্রথমেই এটা প্রশ্ন করা উচিৎ যে,,,আমাদের জন্ম কেনো হলো!!
আসলে,,প্রতিটি আত্মা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা কোন্ পরিবারের অংশ হবেন,,,কোন্ মাতার গর্ভে জন্ম নেবেন,,,কে হবেন তার পিতা,,,,কারণ,,, আত্মার জন্মই হয় যাদের পূর্ব জন্মে কোনো কাজ বাকি থাকে,,বা কোনো কাজের হিসেব মেলাতে বা পূর্ব জন্মের কর্মফল ভোগ করতেই এ পৃথিবীতে আগমন হয়ে থাকে । এ পৃথিবীতে আসার পর,,,মাতা বা পিতা যেমন হবেন,,ঠিক সেভাবেই যা শেখানোর শিখিয়ে দেবেন। কিন্তু শেখাটা চলতেই থাকবে,,, কারণ,,,,,
"Learning never stops!!"
আমাদের মানুষ হিসেবে প্রথমেই এটা প্রশ্ন করা উচিৎ যে,,,আমাদের জন্ম কেনো হলো!!
আসলে,,প্রতিটি আত্মা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা কোন্ পরিবারের অংশ হবেন,,,কোন্ মাতার গর্ভে জন্ম নেবেন,,,কে হবেন তার পিতা,,,,কারণ,,, আত্মার জন্মই হয় যাদের পূর্ব জন্মে কোনো কাজ বাকি থাকে,,বা কোনো কাজের হিসেব মেলাতে বা পূর্ব জন্মের কর্মফল ভোগ করতেই এ পৃথিবীতে আগমন হয়ে থাকে । এ পৃথিবীতে আসার পর,,,মাতা বা পিতা যেমন হবেন,,ঠিক সেভাবেই যা শেখানোর শিখিয়ে দেবেন। কিন্তু শেখাটা চলতেই থাকবে,,, কারণ,,,,,
"Learning never stops!!"
তাহলে মানুষের জন্ম হয় কেনো??এর উত্তরে বলা যায় যে,,,,,সম্ভবত,,,উপনিষদে বর্ণিত আছে যে,,,,, নর থেকে নারায়ণ হবার যাত্রা পূর্ণ করতেই মনুষ্যের জন্ম হয়। কোনো মানুষ যেমন হোন না কেনো,,,তিনি তুচ্ছ হতে পারেন, শ্রীমান হতে পারেন, নিরীহ হতে পারেন, প্রকান্ড পন্ডিত ব্যক্তি ও হতে পারেন,,,কিন্তু নারায়ণ তো তিনি নন; শিবোহম তিনি নন,, ব্রহ্ম তিনি নন,,,আর এই নারায়ণ বা শিবোহম বা পরমব্রহ্ম -এর গুণ নিজের মধ্যে সমাহিত করবার যে যাত্রা,,"অহম ব্রহ্মাস্মি"-র পথে নিজেকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া,, তাকেই আধ্যাত্মিক স্তরে মনুষ্যের প্রকৃত জীবনযাত্রা বলা হয় । প্রতিটি মানুষের এই পরম ব্রহ্মে যাওয়ার চেষ্টাকেই প্রধান উদ্দেশ্য করতে হবে। সসীম থেকে অসীমে যাওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে। সসীম থেকে অসীমের যাত্রা সারা জীবন ধরে মানুষের জীবনে চলতে থাকে ।
অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত ও ভুল কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষ ভীষণ মাত্রায় প্রভাবিত হয়ে পড়েন এবং সে ভুল সংশোধন করতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান,,,তীর্থস্থান ভ্রমণ করতে থাকেন,,,কতটুকু আন্তরিক ভক্তি আছে এতে,,,এ বলা বড়ো মুশকিল,,,বেশির ভাগ মানুষই ছুটে চলেছেন পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে। ঈশ্বরের কাছে গিয়ে কখনও কেউই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন না,,,শুধু তাঁর দর্শন করতে যান না,,,কিছু না কিছু আর্জি পেশ করতেই হবে,,,,,মানুষের এই ধরণের মানসিকতা থাকা উচিৎ?? মানুষের অবস্থা অনেক টা রামকৃষ্ণদেব-এর "কথামৃত"--এর সেই গল্পটির মতো,,যেখানে -----
এক ব্যক্তির তামাকের ভারী নেশা ছিল । একদিন গভীর রাতে হঠাৎ তাঁর তামাকের নেশা লাগলো,,,তিনি হুঁকো সাজিয়ে আগুন ধরাতে যাবেন তখনই তাঁর খেয়াল হলো,,,আগুন তো নেই!! তিনি তাঁর সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও আগুন আর পাচ্ছেন না,,,বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর কাছে আগুন গেলে প্রতিবেশী বলেন,,,ওরে!! তুই তো লন্ঠন নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছিস!! আর তুই আগুনের খোঁজে এতো রাতে চলে এলি?? আরে আগুন তো তোর কাছেই!!!! তখন ঐ নেশায় উন্মত্ত লোকটির চেতনা ফিরলো এবং তিনি প্রতিবেশীর কথায় লজ্জিত হলেন ।
অর্থাৎ,,,,ঈশ্বর আমাদের অন্তরেই বাস করেন,,,আমাদের চেতনা হলেই তাঁকে অনুভব করতে পারবো । নজরুল ইসলাম রচিত সেই বিখ্যাত গানের লাইনগুলো সর্বদা মনে রাখতে হবে------
"অন্তরে তুমি আছো চিরদিন
ওগো অন্তরযামী !!
বাহিরে বৃথাই যতো খুঁজি তাই
পাই না তোমারে আমি,
ওগো অন্তরযামী !!"
আমাদের দের ভেতরে কুন্ডলিনী মা সাড়ে তিন প্যাঁচে অবস্থান করছেন । তিনি সুপ্ত অবস্থায় থাকলে মানুষের চেতনা হয় না, যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমে তাঁকে জাগিয়ে তুলতে হবে।যদি একবার এই চেতনার জাগৃতি ঘটে,,তাহলে মানুষ এই ধরাধামের সমস্ত সুখদুঃখকে অতিক্রম করে চলে যাবেন এবং তিনি Living death অবস্থায় পৌঁছে যাবেন । Living death-এর অবস্থা হলো,,জীবিত থেকেও এই পৃথিবীর সমস্ত মোহমায়া ত্যাগ করা,,,এই বিষয় নিয়ে অনেক মন্তব্য রয়েছে,,,তা অন্য একদিন আলোচনা করবো।
অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত ও ভুল কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষ ভীষণ মাত্রায় প্রভাবিত হয়ে পড়েন এবং সে ভুল সংশোধন করতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান,,,তীর্থস্থান ভ্রমণ করতে থাকেন,,,কতটুকু আন্তরিক ভক্তি আছে এতে,,,এ বলা বড়ো মুশকিল,,,বেশির ভাগ মানুষই ছুটে চলেছেন পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে। ঈশ্বরের কাছে গিয়ে কখনও কেউই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন না,,,শুধু তাঁর দর্শন করতে যান না,,,কিছু না কিছু আর্জি পেশ করতেই হবে,,,,,মানুষের এই ধরণের মানসিকতা থাকা উচিৎ?? মানুষের অবস্থা অনেক টা রামকৃষ্ণদেব-এর "কথামৃত"--এর সেই গল্পটির মতো,,যেখানে -----
এক ব্যক্তির তামাকের ভারী নেশা ছিল । একদিন গভীর রাতে হঠাৎ তাঁর তামাকের নেশা লাগলো,,,তিনি হুঁকো সাজিয়ে আগুন ধরাতে যাবেন তখনই তাঁর খেয়াল হলো,,,আগুন তো নেই!! তিনি তাঁর সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও আগুন আর পাচ্ছেন না,,,বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর কাছে আগুন গেলে প্রতিবেশী বলেন,,,ওরে!! তুই তো লন্ঠন নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছিস!! আর তুই আগুনের খোঁজে এতো রাতে চলে এলি?? আরে আগুন তো তোর কাছেই!!!! তখন ঐ নেশায় উন্মত্ত লোকটির চেতনা ফিরলো এবং তিনি প্রতিবেশীর কথায় লজ্জিত হলেন ।
অর্থাৎ,,,,ঈশ্বর আমাদের অন্তরেই বাস করেন,,,আমাদের চেতনা হলেই তাঁকে অনুভব করতে পারবো । নজরুল ইসলাম রচিত সেই বিখ্যাত গানের লাইনগুলো সর্বদা মনে রাখতে হবে------
"অন্তরে তুমি আছো চিরদিন
ওগো অন্তরযামী !!
বাহিরে বৃথাই যতো খুঁজি তাই
পাই না তোমারে আমি,
ওগো অন্তরযামী !!"
আমাদের দের ভেতরে কুন্ডলিনী মা সাড়ে তিন প্যাঁচে অবস্থান করছেন । তিনি সুপ্ত অবস্থায় থাকলে মানুষের চেতনা হয় না, যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমে তাঁকে জাগিয়ে তুলতে হবে।যদি একবার এই চেতনার জাগৃতি ঘটে,,তাহলে মানুষ এই ধরাধামের সমস্ত সুখদুঃখকে অতিক্রম করে চলে যাবেন এবং তিনি Living death অবস্থায় পৌঁছে যাবেন । Living death-এর অবস্থা হলো,,জীবিত থেকেও এই পৃথিবীর সমস্ত মোহমায়া ত্যাগ করা,,,এই বিষয় নিয়ে অনেক মন্তব্য রয়েছে,,,তা অন্য একদিন আলোচনা করবো।
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
0 comments :
Post a Comment