আশা করি, এই নতুন বছরে আমরা হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষ কে দূরে সরিয়ে সকলের সাথে প্রেমপূর্বক ভাবে বসবাস করবো। আমরা এই "প্রেম" নামক শব্দটি সর্বদাই শুনে থাকি। তাহলে "প্রেম" বা "ভালোবাসা"--কি?? কি এর অর্থ??
"প্রেম" কথাটি এসেছে "পরম" থেকে, যার অর্থ হলো, supreme বা সর্বোচ্চ; অর্থাৎ,, এই প্রেম-এর ওপরে আর কিছুই নেই, অর্থাৎ, সর্বশ্রেষ্ঠ। প্রেম অর্থে ভক্তি, প্রেম অর্থে শ্রদ্ধা, প্রেম অর্থে পবিত্রতা, প্রেম অর্থে মুক্তি, প্রেম অর্থে সমর্পণ ও সমর্থন। এক-কথায় প্রেম হলো, নিঃস্বার্থ ভাবে, আন্তরিক শুদ্ধতার সাথে কারোর জন্য কিছু করা,কাউকে কিছু অর্পণ করা।
এই যে এখানে আমি "নিঃস্বার্থ"--শব্দের প্রয়োগ করলাম, এ শুধু আক্ষরিক অর্থেই প্রয়োগ করলাম মাত্র। প্রকৃতপক্ষে, এ পৃথিবীতে কোনো মানুষই নিঃস্বার্থ হতে পারেন না, স্বার্থপরতা অবশ্যই থাকে। তবে, "স্বার্থ"--কে দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়।
"প্রেম" কথাটি এসেছে "পরম" থেকে, যার অর্থ হলো, supreme বা সর্বোচ্চ; অর্থাৎ,, এই প্রেম-এর ওপরে আর কিছুই নেই, অর্থাৎ, সর্বশ্রেষ্ঠ। প্রেম অর্থে ভক্তি, প্রেম অর্থে শ্রদ্ধা, প্রেম অর্থে পবিত্রতা, প্রেম অর্থে মুক্তি, প্রেম অর্থে সমর্পণ ও সমর্থন। এক-কথায় প্রেম হলো, নিঃস্বার্থ ভাবে, আন্তরিক শুদ্ধতার সাথে কারোর জন্য কিছু করা,কাউকে কিছু অর্পণ করা।
এই যে এখানে আমি "নিঃস্বার্থ"--শব্দের প্রয়োগ করলাম, এ শুধু আক্ষরিক অর্থেই প্রয়োগ করলাম মাত্র। প্রকৃতপক্ষে, এ পৃথিবীতে কোনো মানুষই নিঃস্বার্থ হতে পারেন না, স্বার্থপরতা অবশ্যই থাকে। তবে, "স্বার্থ"--কে দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়।
১--মঙ্গলকারী স্বার্থপরতা ।
২--অমঙ্গলকারী স্বার্থপরতা ।
১--মঙ্গলকারী স্বার্থপরতা ::---এই স্বার্থপরতার মধ্যে, কোনো মানুষ তথা কোনো প্রাণীর ক্ষতিসাধন হয় না এবং এই স্বার্থপরতার ফলে অপর মানুষ উপকৃত হয়ে থাকেন । স্বামী বিবেকানন্দ, সর্বদা এক উন্নত ভারতবর্ষ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন; সত্যি বলতে এটাও এক প্রকার পরোপকারী বা মঙ্গলকারী স্বার্থপরতা, কারণ তিনি আমাদের ভারতবর্ষকে এমন একটি উচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে চাইতেন, যেখানে তিনি অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে পারেন, এবং আমরাও যেনো বলতে পারি যে,,,
"হ্যাঁ!!! আমরা ভারতবাসী!!!
আমরা গর্বিত ভারতবাসী হিসেবে!!!"
"হ্যাঁ!!! আমরা ভারতবাসী!!!
আমরা গর্বিত ভারতবাসী হিসেবে!!!"
এ স্বার্থপরতা অবশ্যই সকলের ভেতরেই জাগিয়ে তোলা উচিৎ,,,এ স্বার্থপরতার জাগৃতি ঘটলে শুধু ভারতবাসীদেরই নয়, গোটা মানবজাতির এক নবজাগরণ ঘটবে, যার প্রভাব অভূতপূর্ব হতে পারে, বলা যেতে পারে, এক সম্পূর্ণ নতুন এবং নতুন আঙ্গিকে আমরা পৃথিবীকে দেখতে পেতে পারি।
২--অমঙ্গলকারী স্বার্থপরতা::--কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো,, আমরা বেশিরভাগ সময়ে যে ধরণের স্বার্থপরতার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকি, তার দ্বারা কখনই কারো উপকার তো হয়-ই না,,বরং অপকারই বেশি হয় ।এই স্বার্থপরতা থেকেই ক্রোধ, হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ইত্যাদির উদ্ভব হয় । এসব বিষয় মানুষের মধ্যে চেতনার অভাব থাকলে উদ্ভব হয়ে থাকে; যেসব মানুষ যতটা এইসব অবগুণ দ্বারা বেষ্টিত, সেইসব মানুষ ঠিক ততটাই Unawaken,,অর্থাৎ "যার চেতনা নেই" । এই চেতনার অভাব বিভিন্ন কারণে হতে পারে,,সেটি নিয়ে অন্য আরেকদিন আলোচনা করবো ।
যেটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, সেটা হলো,,যখন কারো উপকার করতে পারবো না, তখন অপকারের ভাবনাও যেনো মনেতে না আসে। কতটুকুই বা মানবজীবন, কতটুকুই বা তার সামর্থ্য,,, আমরা ভেবে থাকি, অর্থ দিয়ে-ই হয়তো উপকার করা যায়,, কিন্তু,,সর্বদা "অর্থ" দিয়ে উপকার করা যায় না। মানছি,,,সংসার চালানোর জন্য "অর্থ"-এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য । কিন্তু, কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা কোনো কাজেই আসে না,, যেমন ধরুন কোনো এক বিমর্ষ রোগী, ডাক্তার তাঁর বাড়ির লোকজনদের শেষ জবাব দিয়ে দিয়েছেন, সেই সঙ্কটময় অবস্থায় "অর্থ" কাজে আসবে কি???
এর উত্তর--- না; তখন দরকার মানুষের দোয়া এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ ।
এর উত্তর--- না; তখন দরকার মানুষের দোয়া এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ ।
এই "অর্থ" শুধু জাগতিক সংসারেই লাগে,,,অন্য কোথাও বা ঈশ্বরের কাছে এর কোনো মূল্যই নেই।এখানে মজার ব্যাপার হলো,, এই মনুষ্যসৃষ্ট অর্থ দিয়ে সংসারের সেইসব জাগতিক বস্তুই ক্রয় করতে পারেন, যেগুলো মানুষেরই সৃষ্টি । কিন্তু যেগুলো শুধুমাত্র ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট বিষয়,,সেগুলো অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে পারবেন না, সেই বিষয় পেতে চাইলে ঈশ্বরের মতানুসারেই চলতে হবে।
ঈশ্বরের মতানুসারে,,, মানুষের করণীয় হলো, শুদ্ধ চিত্তে অপর মানুষের জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করা,,মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি "অর্থ বা ধন-দৌলত নয়,,,সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি হলো ভালোবাসা বা প্রেম এবং আশীর্ব্বাদ বা দোয়া। সবচেয়ে বড়ো ধর্ম "মানবতা"। এই "মানবতা"-য় প্রতিটি মানুষের ধর্ম হলো,,নিজের মন থেকে সমস্ত কালিমা(ঘৃণা, ক্রোধ, হিংসা, লোভ, বিদ্বেষ ইত্যাদি) মুছে ফেলা,,,নিজের মনকে নিজের ইষ্টদেবের মন্দির ভাবা এবং সেবামূলক কাজে নিজেকে লিপ্ত করা, সেটা পরোপকার করেও হতে পারে,,তা নাহলে ঘরে বসেই ইষ্টদেবের সেবা ও জগৎ-সংসারের উন্নতি সাধনের জন্য প্রার্থনা করা।
মহারাজ চরণ সিং-জী বলেছেন,,
"There is any true temple,
true gurdwara, true mosque
or, true church, it is our own body.
This place God has designed for
Himself, and He sits within it."
"There is any true temple,
true gurdwara, true mosque
or, true church, it is our own body.
This place God has designed for
Himself, and He sits within it."
,,এখানে যদি সত্যিই কোনো মন্দির, গুরুদুয়ারা, মসজিদ অথবা কোনো গির্জা থেকে থাকে,,,তাহলে সেটা আমাদের নিজেদের দেহ বা দেহের ভেতর অবস্থানকারী আত্মা; যা ঈশ্বরের নিজস্ব নকশায় সৃষ্টি এবং যার মধ্যে তিনি স্বয়ং অবস্থান করছেন। তাই আমরা যতই তীর্থ করে ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়াই না কেনো,,,দেহের মতো পবিত্র তীর্থস্থান আর কোথাও নেই,,,ঈশ্বর আমাদের অন্দরেই বিরাজমান,, কারণ জীবেই শিবের অবস্থান।
আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।
0 comments :
Post a Comment