Motivational


আমরা, আমাদের জীবনে অনেক ধরণের মানুষের সাথেই পরিচিত হই, সবাইকেই আমাদের পছন্দ হবে এমন কোন কথা নেই বা তাঁরাও যে আমাদের পছন্দ করবেন তা-ও নয়। মতের অমিল হলে তখন সম্পর্কে একটু মনোমালিন্যতা দেখা যায়, এ স্বাভাবিক।
এ পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষদের দেখা যায় যারা সকারত্মক, যাদের প্রতিটি মানুষ ভীষণ পছন্দ করেন, তাঁদের কথা সবাই দু-দন্ড বসে শুনতে চান। সবাই এক আলাদা রকমের উর্জা অর্থাৎ কিনা, সবাই ওই সকারত্মক ব্যক্তির থেকে প্রচুর পরিমাণে ধ্বন্যাত্মক শক্তি পেয়ে থাকেন। এর উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরুন, কোনো একটি টবে লাগানো গাছকে যদি ঘরের ভেতরেই জানালার পাশে রেখে দেন, তাহলে দেখবেন গাছটি সূর্যালোকের দিকে ঝুঁকে পড়ে; ঠিক তেমনই আমরাও যখন কোনো সকারত্মক ব্যক্তির সান্নিধ্য লাভ করি, তখন খুব সহজেই তাঁর কথাগুলো আমাদের ভালো লেগে যায়, বিষয়টি পুরো মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে, তখন তাঁর প্রতিটি আলোচনাই আমাদের সঠিক ও সুন্দর লাগতে শুরু করে।


আবার আর এক ধরণের মানুষেরাও আছেন, তাঁরা নেতিবাচক মনোবৃত্তির। এই নেতিবাচক মানসিকতা স্থান-কাল-পাত্র বিশেষে ভিন্ন হয়ে থাকে। এই ধরণের মানসিকতা অল্প-বিস্তর সবার অন্দরেই বিরাজমান। কিন্তু, যাঁরা চরম নেতিবাচক মনোবৃত্তির মানুষ, তাঁরাই চরম মাত্রায় অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন, অন্যের ক্ষতিসাধন করে নিজেকে লাভবান করতে চান এঁরা। হিংসা,লোভ, লালসা, ঘৃণাপূর্ণ আচরণ, কলহপ্রিয়তা, ভণ্ডামি করার প্রবৃত্তি, মানুষকে তাঁর যোগ্য সম্মান না দেওয়া, অপমান করা, দুর্বলের প্রতি অত্যাচার করা, ভ্রষ্টাচারিতা, লোক ঠকানো, ইত্যাদি এইরকম আরও বিবিধ বিষয় তাঁদের মধ্যেই দেখা যায়; এমনকি এঁরা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য হত্যার মতো চরম পাপেও লিপ্ত হতে পারেন। এঁদের থেকে মানুষ দূরে থাকার চেষ্টা করেন; অন্য মানুষেরা তাঁদের সঙ্গ পেতে আগ্রহী থাকেন না। এর কারণ হলো, এঁদের ওপর ঋণাত্মক শক্তির প্রভাব বেশি, তাই এইসব মানসিকতার মানুষদের সংস্পর্শে থাকলে অন্য মানুষেরা বেশি করে ঋণাত্মক হয়ে ওঠেন ।
তা, এবার প্রশ্ন হলো, আমরাও কি সকারত্মক হতে পারি? আমরাও কি নিজেদের এভাবে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি?? এর উত্তর---- নিশ্চয়ই পারি । এর পন্থা একটিই, সেটা হলো যোগ ও ধ্যান। এবার প্রশ্ন হলো, কীভাবে এটি কাজ করে?? এর উত্তর হলো--- যোগ ও ধ্যান করতে করতে প্রথমে আমাদের ভেতরের সমস্ত ঋণাত্মক শক্তির বিনাশ হতে থাকে। তার সাথে সাথে আমাদের ধণাত্মক শক্তির আধিক্য দেখা যায়, আমাদের মনোযোগ, ঈশ্বরের প্রতি আস্থা ও ভক্তি বাড়তে থাকে, এর ফলে আমাদের মনোবলও বাড়তে থাকে, আমাদের আত্মপ্রত্যয় ও আত্মপ্রকাশ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে সত্যবাদীতা, আত্মবিশুদ্ধতা বাড়তে থাকে। আমরা ধীরে ধীরে দুর্বল থেকে সবল হয়ে উঠি, অশুভ-এর সাথে যুদ্ধ করার এক তীব্র সাহস চলে আসে।
আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, যাঁরা Motivational Speaker (প্রেরণাদায়ী বক্তা),তাঁরা ভীষণ শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকেন, এ ও কিন্তু ধ্যান করার ফল। আর একটা আশ্চর্য বিষয় বলি, সেটা হলো, ধ্যান করলে আপনার মুখমণ্ডলে এক অদ্ভুত দীপ্তি প্রকাশিত হবে, যার জন্যে সবাই আপনার প্রতি আকর্ষিত হবেন। প্রসাধনী সামগ্রী আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে, কিন্তু, Meditation বা ধ্যান, আমাদের আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। তাই সমস্ত রোগের সমাধানও এই ধ্যানের মধ্যেই । তবে শুধু ধ্যান নয়, এর পাশাপাশি শুদ্ধাচার, আন্তরিক বিশুদ্ধতা, ঈশ্বরের প্রতি ভরসা রাখা, নিজেকে তাঁর পাদপদ্মে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণের মানসিকতা ও নিজেকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং নিজেকে একটা উন্নত পদে, একজন উন্নত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার চাহিদাটি থাকা আবশ্যক।
আজ আপনাদের কিছু টিপস দিতে চাই, যদি আপনাদের এতোটুকুও কাজে লাগে তাহলে ধন্য হবো। এ একান্তই আমার আত্মোপলব্ধি থেকে শেয়ার করছি, ভুল মনে হলে দয়া করে, মাফ করে দেবেন।
আপনারা যাঁরা meditation বা ধ্যান করতে অভ্যস্ত নন, তাঁরা প্রথমে ভক্তিগীতি শোনার অভ্যাস করতে পারেন । তারপর, অভ্যাস হয়ে গেলে বিভিন্ন মন্ত্র শোনার অভ্যাস করুন, তার সাথে নিজ নিজ ইষ্টদেবের নাম জপ করতে পারেন। আর মন্ত্র যখন শুনবেন, তখন আপনার ঘরটিকে হালকা অন্ধকার করে নেবেন ও সোজা হয়ে বসে কানে হেডফোনস্ লাগিয়ে নেবেন, মনোযোগ টা শুধুমাত্র মন্ত্রের ওপর এবং এর সাউন্ডস গুলো আপনার অঙ্গের কোথায় কোথায় নাড়া দেয়, সেটার ওপর নজর রাখতে হবে।meditation -করতে চাইলে কোলাহলমুক্ত পরিবেশ থাকাটা দরকার। তাই যদি পারেন তাহলে ভোর 3টে থেকে 5টার মধ্যে(ব্রহ্ম মুহূর্তে) করতে পারেন।
দেখুন একটা পরিস্কার ধারণা দিই, সেটা হলো,,,,এটি meditation-এর সঠিক নিয়ম নয়, সত্যি বলতে meditation করবার সময় সাউন্ডস ব্যবহার করা ঠিক নয়, সাউন্ডস শুধু সহায়তা প্রদান করে। Meditation -এর সঠিক নিয়ম হলো, কোনো শান্ত পরিবেশে বসে, অন্তর্দৃষ্টি দ্বারা স্বীয় আত্মা কে উপলব্ধি করা।
Meditation-এর যে পদ্ধতি আপনাদের সঠিক মনে হবে, আপনারা সেটা অবশ্যই করবেন । আর তার সাথে পারলে মন্ত্র শোনার অভ্যাস রাখলে আপনারা আরও অনেক বেশি posstive feel করতে পারবেন বলে আশা করছি । আমার "Meditation বা ধ্যান"--- বিষয় নিয়ে খুব একটা ধারণা নেই, যেটুকু জানতাম, আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তিনটি মন্ত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, বিবরণ আপনারা ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন, সেগুলো হলো----
1---Ayi Girinandini
(কর্ম করার উৎসাহ প্রদান করে)
2---Shiva Tandava
(জীবন যুদ্ধে কখনও ভীষণভাবে ভেঙে পড়লে সাহস জোগাতে সাহায্য করে)
3---Hanuman Chalisa
(জীবনে ভয়কে জয় করতে সাহায্য করে)
এর সাথে মহাদেবের মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ বা শ্রবণ করতে পারেন ।
আর,,ওপরের পদ্ধতিটি আমার মতো, চঞ্চল মনের মানুষদের জন্য, আপনারা চাইলে একবার চেষ্টা করতে পারেন, আমি গত একবছর ধরে চেষ্টা করছি, আমি বেশ উপকৃত হয়েছি।


আরও আধ্যাত্মিক তথ্য পেতে ও জানতে চাইলে অবশ্যই দেখুন আমাদের সকলের এই নুতন চ্যানেলটি, আর সর্বদা আনন্দে থাকুন ও আনন্দে রাখুন সকলকে : https://bit.ly/2OdoJRN
ভারতের সাধক ও সাধিকা গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে আমার বিনীত আবেদন,
ভারতের সকল সাধক ও সাধিকার ভাবধারা সম্প্রচার ও পুনঃপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের এই নুতন ইউটিউব চ্যানেল,
আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এটি একটি মহৎ প্রয়াস, আপনিও এর অংশীদার হোন।

Share on Google Plus

About Indian Monk - Pronay Sen

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments :

Post a Comment