স্বামীজির কাছে হিমালয়

স্বামীজির কাছে হিমালয় ছিল সর্বব্যাপী ভগবানের বিরাট প্রতিমা। হিমালয় বারে বারে আকর্ষণ করেছে বিবেকানন্দকে। সংকট মুক্তি, আশার আলোর সন্ধান পেয়েছেন এখানে। তিনি অনুভব করতেন হিমালয় তান ধরেছেন রাগরাগিণীর। শুনতেন অলকানন্দার স্রোতে কেদার রাগের আলাপ। দর্শন করেছিলেন বহু মহাত্মাকে। হিমালয়েই থাকাকালীন শুনলেন তাঁর বোনের মৃত্যুসংবাদ! অনুভব করলেন ভারতীয় নারীর দুর্দশা। এই হিমালয় ভ্রমণেই তিনি একদিন এক অতীন্দ্রিয় দর্শনের মাধ্যমে আর্যঋষিদের যুগের এক সন্ধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর হিমালয় প্রেমের ফসল মায়াবতীর অদ্বৈত আশ্রম। বিদেশিনী ভক্ত মিসেস হ্যানসব্রোকে বলেছিলেন, ‘আমাকে আর কোনও দৃশ্য দেখাতে যেও না। আমি হিমালয় দেখেছি!’ লিখেছেন স্বামী বলভদ্রানন্দ। স্বামীজির জীবনে আমরা দেখি যে, হিমালয় তাঁকে চিরকাল সম্মোহিত করে রেখেছে। আমরা জানি, শিশুকালে দুরন্ত স্বামীজিকে শান্ত করার জন্য মা ভুবনেশ্বরী দেবী তাঁর মাথায় জল ঢেলে দিয়ে জপ করতেন ‘শিব শিব শিব’, কখনও বা বলতেন, ‘এত দুষ্টুমি করলে শিব আর তোকে কৈলাসে যেতে দেবেন না।’  সব দুষ্টুমি ভুলে ‘বিলে’ তখন শান্ত হয়ে যেতেন!  পরবর্তীকালে নিবেদিতার কাছে স্বামীজি বলে...